বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু নতুন কমান্ডারের নাম ঘোষণা করেন। খবর বিবিসির।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে নিয়োজিত রুশ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে সেনাবাহিনীর বর্তমান চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি স্থানে নিষ্ঠুর কার্যক্রমের অভিযোগ উঠায় রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছিল।
এর জের ধরেই শীর্ষ কমান্ডারের পদ থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে জেনারেল গেরাসিমভের অধীনে রুশ বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে কাজ করবেন সুরোভিকিন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেন অভিযানরত সেনা সদস্যদের বিভিন্ন দলের মধ্যে সমন্বয়, রণকৌশল নির্ধারণ ও যুদ্ধে আমাদের সেনাদের নিহতের ঘটনা হ্রাসে একটি কার্যকর নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। আমরা আশা করছি, নতুন শীর্ষ কমান্ডার তার দায়িত্ব দক্ষভাবে পালন করবেন।’
এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার ভাড়াটে মিলিশিয়া গ্রুপ ওয়াগনার বাহিনী এখনও পূর্বাঞ্চলীয় লবণখনির শহর সোলেদার দখল করতে পারেনি।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার সেনারা সোলেদারের পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে শহরের কেন্দ্রস্থলে যুদ্ধ পরিস্থিতি রয়েছে। সেখানে এখনও লড়াই চলছে। তবে এ দাবি প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের ইস্টার্ন মিলিটারি কমান্ডের মুখপাত্র সের্হি সেরেভাতি বলেছেন, ইউক্রেনকে এ শহর রক্ষা করতে হবে এবং রুশ সেনাদের এখনও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, শহরটি রাশিয়ার দখলে যায়নি। সেখানে তুমুল যুদ্ধ চলছে। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই জটিল।
সের্হি সেরেভাতি বলেন, ইউক্রেনের সেনারা এখন পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছেন এবং কীভাবে নিজেদের কম ক্ষতি করে রুশ বাহিনীকে পরাজিত করা যায় সে চেষ্টা চলছে।