রাশিয়া ইউক্রেনের বাখমুতে নতুনভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। এবার রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা বাখমুত ছেড়ে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আলেক্সান্ডার সিরস্কি আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কিয়েভ বাখমুতকে ধরে রাখার জন্য যে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার ওপর জোর দিয়েছে রাশিয়া। পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে যা আশা করে যে যুদ্ধের গতিশীলতা পরিবর্তন হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, রাশিয়া সম্পূর্ণ ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানছে। বিশেষ সামরিক অভিযান বলে তার সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য অস্ত্র সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে।
রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে শোইগু বলেন, রুশ বাহিনী সম্পূর্ণ যোগাযোগের লাইন বরাবর আক্রমণ চালাচ্ছে। কেবল ইউক্রেন নয় বরং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, জার্মান থেকে সরবরাহকৃত অস্ত্র ইতোমধ্যে দোনবাস অঞ্চলে ব্যবহার করছে ইউক্রেন।
এদিকে ইউক্রেনীয় সেনা আর্টার (ছদ্মনাম) সিএনএনকে বলেন, বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণে আমাদের ব্রিগেট প্রস্তুত। আমরা অনেক দিন অপেক্ষা করেছি। ইতোমধ্যে সব ধরনের রসদ পুনরায় সরবরাহ শেষ হয়েছে। ইউক্রেন পিছু হটবে না বাখমুত থেকে।
এর আগে ইউক্রেনের খেরসনের আঞ্চলিক পরিষদের উপপ্রধান ইউরিই সোবোলেভস্কি বলেন, দক্ষিণে প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে না। আশা করছি রাশিয়ার কাছ থেকে আমাদের ভূখণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দক্ষিণ সেক্টরে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী যা করছে তা একটি পাল্টা আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যেমন শত্রুপক্ষের ওপর হামলা বজায় রাখা, প্রতিরোধ ধরে রাখা, তাদের সামরিক বস্তু ধ্বংস করার পাশাপাশি সক্ষমতা কমিয়ে আনা। আমি মনে করি না, পাল্টা আক্রমণের জন্য এমন কোনো তারিখ আলাদাভাবে ঘোষণা করার প্রয়োজন আছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় গভর্নর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।