আইপিএলে আরও একটি রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ। এ বার অবশ্য হাই-স্কোরিং ম্য়াচে হাসি মুখেই মাঠ ছাড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছিল মুম্বাই। মোহালিতে জয়ের বাড়তি তাগিদ ছিল। অধিনায়ক রোহিত শর্মা রান পেলেন না। ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল মুম্বাই।
ওয়াংখেড়েতে জিতেছিল পাঞ্জাব কিংস। ফলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে মোহালিতে ছিল বদলার ম্য়াচ। এদিন টস জিতে ফিল্ডিং নেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাটিংয়ে এদিন পাঞ্জাব কিংসের চতুর্থ উইকেট জুটি লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জীতেশ শর্মা বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বেশ কিছু ফিল্ডিং মিস করে। তবে দ্বাদশ ওভারে ৯৫-৩ স্কোর হওয়ায় ২০০ পেরোনো কঠিন ছিল। চতু্র্থ উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জীতেশ শর্মা অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৩ বলে ১১৯ রান যোগ করেন। লিভিংস্টোন অপরাজিত ৪২ বলে ৮২ রানে। জীতেশ ২৭ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে পাঞ্জাব কিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চাপ মুম্বাইয়ের বাড়ে ইনিংসের তৃতীয় বলেই। ৩ বলে ০ রানে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লে-র শেষ বলে ক্য়ামেরন গ্রিনকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় ধাক্কা দেয় পাঞ্জাব। এরপর অবশ্য মুম্বাইয়ের দাপট। ঈশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদবের ব্য়াটিং তান্ডব। ৫২ বলে শতরানের জুটি ঈশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদবের। জুটি ভাঙে ১৬তম ওভারের প্রথম বলে। নাথান এলিসের বলে দারুণ ক্যাচ নেন অর্শদীপ। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরেন ঈশান কিষাণও। তাতেও জিততে সমস্যা হয়নি মুম্বাইয়ের। মোহালিতে জিতে বদলা সম্পন্ন।