বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে উঠে আসে। বাতাসের এই মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ যখন শীর্ষে তখন তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। পাকিস্তানের লাহোর ছিল তৃতীয়, চীনের শেনইয়ং ছিল চতুর্থ আর ইরাকের বাগদাদ ছিল পঞ্চম অবস্থানে। অপরদিকে সবচেয়ে ভালো বায়ুর শহর হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, ক্যানবেরা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সানফান্সিসকোর নাম উঠে আসে।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার। প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানটির তথ্য উপর-নিচ হয়। অর্থাৎ বাতাসের মান খারাপ হলে স্কোর বাড়ে। আবার ভালো হলে স্কোর কমে আসে।
প্রতিষ্ঠানটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ হলো, ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ও নির্মাণ কর্মযজ্ঞের সৃষ্ট ধুলো।