মাদারীপুরের রাজৈরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আবদুস সালামকে (৫০) মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামীলী ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার বৌলগ্রাম এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত রাজৈর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা হাসান পল্লবী ও তার ছেলেদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রাজৈরমুখী হন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সড়ক অবরোধের ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, অবরোধকারীদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।এদিকে ‘রাজৈর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আব্দুস সালামকে লাঞ্ছিত করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় যারা জড়িত তারা কেউ আওয়ামী লীগের নয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি মো.শাহাবুদ্দিন মোল্লা।
তিনি বলেন, যে ছেলেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে, তাদের আরো তিন বছর আগে থেকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের দায়ভার আওয়ামী লীগের উপরে বর্তাবে না।’
আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত পিয়াল বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাজৈর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। আমি কখনো এ কাজ করতে পারি না। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরং ওই ভদ্রলোককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। কে বা কারা তাকে মোটরসাইকেলসহ পানিতে ফেলে দিয়েছে সেটা আমি বলতে পারছি না।’
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘পিয়াল আরো তিন বছর আগে বিভিন্ন রকম অপকর্মের দায় নিয়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগের কেউ নন।’
উল্লেখ্য, গত ২ মে দুপুরে রাজোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আব্দুস সালাম মোটরসাইকেলযুগে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যাবার সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিবুল হাসান পিয়ালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে তাকে লাঞ্ছিত করেন। পরে মোটরসাইকেলসহ পুকুরের পানিতে ফেলে দেন।