দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় আগামীকাল সোমবার অথবা পরের দিন মঙ্গলবার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ ও এর গতিপথ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগের তথ্য অনুযায়ী, আজ রবিবার লঘুচাপটি সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে অধিদপ্তর। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে এখনই আমরা নতুন কোনো তথ্য দিচ্ছি না। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে। এর আগে আমরা বলেছিলাম, রবিবার (আজ) বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এটি বিলম্বিত হচ্ছে। লঘুচাপটি সৃষ্টি হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানানো হবে।’
পুরো বিষয়টি এখনো ‘দোদুল্যমান’ অবস্থায় আছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আগে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে হবে। এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় ও এর গতিপথ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা মিলবে।’
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গত শুক্রবার ফেসবুকে জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ কোন জায়গার ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। ঘূর্ণিঝড় মোচা মিয়ানমার উপকূল থেকে শুরু করে ভারতের ওড়িশা উপকূলের যেকোনো জায়গা দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। মোটামুটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্তত আজ রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ঢাকা, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।