প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
টানা গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদী পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। গত দুই দিনে প্রায় ২০টি বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সাথে হুমকীর মুখে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মসজিদ ও মোক্তব।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার (২৫সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, চর পাড়ামৌলা, চর তৈয়ব খাঁ নিম্নাঞ্চলে তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে।
গতিয়াশাম এলাকার বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার পানিতে আমার দুই বিঘা আমনক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমন চাষ করেছি। একদিকে নদী ভাঙন, আবার যদি বন্যা হয় তাহলে ফের আমন আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরা বলেন, তিস্তা নদী পানি রবিবার থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার বাম তীরে ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় রাজারহাটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি আবারও বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সমতল স্তরে পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা আছে, তবে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই।
রাজারহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০সেন্টিমিটার ওপরে, দেখা দিয়েছে নতুন করে ভাঙন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন: