আট বছর প্রেমের পর চতুর্থ বিয়ে করলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো। ‘‘ফেনোমেনন’’-এর স্ত্রী বয়সে তার চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ব্রাজিলিয়ান মডেল সেলিনা লকস।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। এতে বলা হয়, গত রবিবার ব্রাজিলের ইবিজায় ৪৭ বছর বয়সী রোনালদো নাজারিও ডি লিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিয়েতে দুজনেই সাদা পোশাক পড়েছিলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন দুইজনের পরিবার ও বন্ধুরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিয়ের ছবিতে দেখা যায়, হাত ধরে হেটে যাচ্ছেন নবদম্পতি। আর তাদের ওপর দুপাশ থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিচ্ছেন আগতরা।
সেলিনা লকস ইন্সটাগ্রামে বিয়ের কথা জানিয়ে লিখেন, “আজ আমাদের পরিবারকে এক ঘরোয়া উদযাপনের জন্য একত্রিত করেছি। এরমধ্য দিয়ে নতুন এক দিনের সূচনা হয়েছে।”
এ বছরের জানুয়ারি মাসে সাম্বা কিংবদন্তি ৩৩ বছর বয়সী সেলিনা লকসকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। এরপর তারা বাগদানের ঘোষণা দেন।
গত আট বছর ধরে প্রেম করছিলেন তারা।
অল্প বয়স থেকেই মডেলিং শুরু করেন সেলিনা। ফ্যাশন নিয়ে বেশ কিছু খ্যাতিমান সাময়িকীর প্রচ্ছদকন্যাও হয়েছেন। “ভোগ”, “বাজার” ও “দিওর”-এর মতো বেশ কিছু নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজও করেছেন ৩২ বছর বয়সী সেলিনা। তার ইনস্টাগ্রামে অনুসারী সংখ্যা তিন লাখের বেশি।২০১৫ সালে পরিচিত হওয়ার পর স্পেনের ইবিজায় রোনালদোর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন সেলিনা। এ জুটি এখনো কোনো সন্তান নেননি।
এর আগে, “কুয়েম” সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেলিনা বলেছিলেন- “রোনালদোর চার সন্তানকে তিনি নিজের সন্তান হিসেবেই দেখেন। রোনালদোর যখন সম্পর্কটা শুরু হয়, ওরা অনেক ছোট ছিল। কাউকে ভালোবেসে সম্পর্ক শুরু করলে তার সব কিছুই মেনে নেওয়া যায়। আমি এই পরিবারকে ভালোবাসি। ওদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে।”
অপরদিকে রোনালদো এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন। রোনাল্ড, অ্যালেক্স, মারিয়া সোফিয়া ও মারিয়া এলিস নামে চারটি সন্তান রয়েছে তার।
১৯৯৭ সালে ব্রাজিলিয়ান মডেল সুজানা ওয়ের্নারের প্রেমে পড়েন রোনালদো। বিয়ে না করলেও ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মিলানে তারা একসঙ্গে বসবাস করেছেন। সে বছর বিচ্ছেদের পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিলান ডমিনগুয়েজকে বিয়ে করেন রোনালদো। পরের বছর রোনাল্ডের জন্ম হয়। এই বিয়ে চার বছর টিকেছিল।
২০০৫ সালে ব্রাজিলিয়ান মডেল ও এমটিভি ভিজে ড্যানিয়েল সিকারেল্লিকে বিয়ে করেন রোনালদো। সেই ঘর টিকেছিল মাত্র তিন মাস।
এরপর মারিয়া বিয়েট্রিচকে বিয়ে করেন রোনালদো। এই ঘরে জন্ম মারিয়া সোফিয়া ও মারিয়া এলিসের। অ্যালেক্সের জন্ম ২০০৫ সালে। ব্রাজিলিয়ান মিশেল উমেজুর সঙ্গে ২০০২ সালে টোকিওতে পরিচয় হয়েছিল রোনালদোর। উমেজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ২০০৫ সালে অ্যালেক্সের বাবা হন রোনালদো।
২০১১ সালে শারীরিক জটিলতার কারণে ফুটবল ক্যারিয়ারকে বিদায় বলে দেন রোনালদো। এর আগেই অবশ্য ফুটবল থেকে সম্ভাব্য সবই জেতা হয়ে গেছে তার- ব্রাজিলের জার্সিতে ২০০২ বিশ্বকাপ, “ব্যালন ডি’অর”, তিনবার “ফিফা দ্য বেস্ট” এবং ক্লাব পর্যায়ে সম্ভাব্য সকল শিরোপা।