আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
শৈশব থেকে বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে বেড়ে উঠেছেন তার বড় কন্যা। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে কৈশোরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে তার। জ্যেষ্ঠ সন্তান হওয়ায় কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামও দেখেছেন তিনি।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের বর্বরতা পরিবারের প্রায় সবাইকে কেড়ে নিলে নতুন সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল শেখ হাসিনার। শোককে শক্তিতে পরিণত করে দল ও সরকার পরিচালনায় পেয়েছেন নজিরবিহীন সাফল্য। বিশ্লেষকদের মতে, তার দূরদর্শী চিন্তা ও দুঃসাহসী ভূমিকাতেই, বিশ্বসভায় আজ সম্মানের স্থানে বাংলাদেশ।
টুঙ্গিপাড়ার পাঠশালাতেই শিক্ষাজীবন শুরু শেখ হাসিনার। ঢাকায় কলেজে পড়ার সময়, ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক রাজনীতির সূচনা হয় তার। পরে, ৬ দফা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। বাবা জেলে, নিজে গৃহবন্দী-এমন অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন তিনি। পরের বছর ৯ ডিসেম্বর জন্ম হয় কন্যা পুতুলের।
ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ খ্যাতি লাভ করেছেন। মেয়ে সায়মা হোসেন কাজ করেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বা অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে। রাজনীতির শত ব্যস্ততার মধ্যেও শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা, নানি ও দাদি হিসেবে সুপরিচিত।
৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতা, ভাই-ভাবিসহ প্রায় পুরো পরিবার হারানোর নির্মম ব্যথা বুকে নিয়েই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সব সময় বলে থাকেন, সাধারণ মানুষের ভালোবাসাই এখন তার সম্বল।