আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ এই অক্টোবরেও আছে, আগামী অক্টোবরেও থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনি ইশতেহার দেবে আওয়ামী লীগ। কে এলো কে এলো না, এটা আমাদের দেখার বিষয় না। কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, সেটাও আমাদের হেডেক না। বৃহস্পতিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ণ উপ-কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করবো। আমরা সংবিধান মেনে সামনের নির্বাচন নিরপেক্ষ করার লক্ষে কাজ করছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে।
তিনি বলেন, আফ্রিকায় কদিন পরপর বিদ্রোহ হয়, সেটা থামাতে পারেন না। ইসরায়েলকে থামাতে পারেন না। নেতানিয়াহু তো কথা শোনে না। আমাদের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামানো কেন? যুদ্ধ থামান, বড় বড় সংকট দেখেন, আমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা তো পরাশক্তি হতে চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা নির্বাচনকালীন ছোট কি বড় হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে, মন্ত্রিসভা ছোট করতে পারেন, নাও পারেন। এটাতে আমাদের কারও কিছু করার নেই। সেই মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশন নেবে না।
তিনি বলেন, বিশাল পুস্তক রচনা করে ইশতেহার তৈরির দরকার নেই। মূল কথা তুলে আনতে হবে। বেশি কথা শোনার কারও সময় নেই। সবাই জীবন যুদ্ধে ব্যস্ত। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কি কারণে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দেবো। জনগন শেখ হাসিনার বিকল্প কাউকে ভাবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, শ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, শেখর দত্ত, ওয়াসিকা আয়েশা খান, বিপ্লব বড়ুয়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তারানা হালিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।