মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত খালেদা জিয়া। তার বুকে ও পেটে পানি চলে এসেছে। বাংলাদেশে তারা আর তেমন কোনো চিকিৎসার অপশন নেই। খালেদা জিয়ার পেটের ও বুকের পানি বের করা এবং এন্টিবায়োটিক দেওয়া ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা নেই দেশে। উনার মৃত্যুঝঁকি অনেক বেশি। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় না; যা হয়েছে তা পরীক্ষামূলক বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের লোক এবং সেটআপ কোনোটাই নেই। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এমন, যেখানে বাংলাদেশে দেয়ার মতো সব চিকিৎসা শেষ হয়েছে। যদি দুই বছর আগে খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া যেতো তাহলে তার এমন অবস্থা হতো না বলেও জানান এফ এম সিদ্দিকী।
তিনি জানান, লিভারের সংক্রমণের কারণে বার বার পেটে পানি চলে আসছে বেগম জিয়ার। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুই দুই বার সিসিইউতে নেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও বলেন, বিদেশে নিয়ে গিয়ে যদি মাল্টিপিসিপ্লিনারি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া যায় তাহলে এখনও তাকে সুস্থ করা সম্ভব। খালেদা জিয়ার মূল অসুখ হলো সিরোসিস জনিত হাইপার টেনশন। এটার চিকিৎসা এখনও নেই। ফলে দিন দিন তার অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়া, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। শারীরিক অবস্থার তারতম্যের কারণে সম্প্রতি কয়েক দফায় বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের কেবিন ও সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।