ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-
আগামী মঙ্গলবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আগমনকে সামনে রেখে উৎসবের আমেজ বইছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতেও চলছে সাজসজ্জার কাজ। এমন চিত্র শুধু ভাঙ্গা জুড়েই নয় এর বাইরে ফরিদপুর জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায়ও দেখা মিলছে একই চিত্র।
সাজসজ্জার অংশ হিসেবে সড়ক জুড়ে টাঙানো হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র সম্বলিত ব্যনার ও ফেস্টুন। এছাড়াও বিভিন্ন পদধারী নেতাদের বড় বড় ব্যানার ও সরকারের উন্নয়নের চিত্র শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন মোড়ে, রাস্তার পাশের দেওয়াল ও গাছে গাছে।
আগামী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রেল সংযোগের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখা আয়োজিত ফরিদপুরের ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দফায় দফায় বৈঠক করেছে। ভাঙ্গা এলাকাজুড়ে নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে দলীয় প্রধানের সফরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন করতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক আনন্দ বিরাজ করছে। পদ্মা সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য সৃষ্টি। সেই সেতুর রেললাইন উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যা আমাদের জন্য গর্বের। এ রেললাইন উদ্বোধন হলে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা আরো নির্বিঘ্ন হবে, দৃশ্যমান হবে রেললাইন।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ রেলপথ বাণিজ্যিকভাবে খুলে দেয়া হবে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে।