জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তো দূরের কথা, নতুন করে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বিদেশি বাণিজ্যবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি ডিয়ানা জেনসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা কোথায় পেয়েছেন (যেসব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে) আমরা জানি না। কিন্তু আমি খুব দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, এ ধরনের কোনো সম্ভাবনাই নেই।
বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদলকে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। সেসময় নিউইয়র্ক টাইমসে এ বিষয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদনও হয়েছে। আমি বিষয়টি ডিয়ানা জেনসকে জানিয়েছি।
এদেশের সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। কেউ বানচালের চেষ্টা করলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুইডেনের মন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নতুন আইন হয়েছে, সেটা তাকে বলেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায় তার জন্য কি প্রচেষ্টা আমরা নিচ্ছি, সেটা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে ডিয়ানা জেনস জানতে চেয়েছেন। তাকে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগের দুবছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন ছিল, সেই সময়ের প্রেক্ষাপট, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতা, ২০১৪ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কট ও বানচালের অপচেষ্টার ঘটনাপ্রবাহ, জ্বালাও-পোড়াও, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, ২০১৮ সালে সেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে এলেও নেতৃত্বের সংকটের কারণে তারা সেই নির্বাচনে পুরো সময় থাকেনি, এছাড়াও তাদের অপচেষ্টা এখনো যে অব্যাহত আছে- সেগুলো জানিয়েছি।
এ ছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বাংলাদেশ ও সুইডেনের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন উভয়পক্ষ।