দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত আরেকটি স্বপ্ন পূরণের দিন আজ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মাওয়া রেল স্টেশনে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত রেলপথ ১৭২ কিলোমিটার।পুরো কাজ শেষ হয়নি। তবে শেষ হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ। আর এ অংশের উদ্বোধনের পর ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।পরে ভাঙায় এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পুরো রেলপথ চালু হলে আরো সহজ হবে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রেল যোগাযোগ। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রেল কর্তৃপক্ষ জানান, শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামবে। এগুলো হলো মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর। পাশাপাশি শিগগিরই চালু হবে মুন্সীগঞ্জের নিমতলা স্টেশন।
এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সবকটি রেলস্টেশন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সমাবেশস্থল, উদ্বোধনী ট্রেন সাজানো শেষ হয়েছে।কমলাপুর-গেন্ডারিয়া-ভাঙ্গা জংশন পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
প্রকল্প সূত্র জানায়, আপাতত কমলাপুর স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এজন্য চীন থেকে কেনা নতুন সাতটি কোচের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন, সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এ ছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢুকবে