পদ্মা সেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে নতুন এক রেলযুগে প্রবেশ করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনের যাত্রী হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা আসবেন প্রধানমন্ত্রী। করবেন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, যা ঘিরে সপ্তাহ ব্যাপী মহাকর্মজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ঘুরে দেখবেন জংশন, বক্তব্য রাখবেন বিশাল জনসভায়।
দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, বছর, মাস পেরিয়ে অপেক্ষাটা এখন কয়েক ঘণ্টার। ঝিকঝিক শব্দে আরামদায়ক দুলুনিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় আসার অধীর আগ্রহ এখন ফরিদপুরবাসীর।
সরকার প্রধানের এই সফর কালে ট্রেনে তার সঙ্গে বিভিন্ন পেশার ১১ যাত্রী সঙ্গী হবেন। কথা বলবেন ও শুনবেন তাদের অভিব্যক্তি।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুরের সফরের সিদ্ধান্তের পরপরই সরকার প্রধানের দপ্তর থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার একজন করে তালিকা করতে। যাদের সঙ্গে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঢাকা থেকে ফরিদপুরে ট্রেন যোগে আসবেন, শুনবেন তাদের কথা। আমরা চেষ্টা করেছি সেই তালিকা তৈরির। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মঙ্গলবার সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে যারা ট্রেনযাত্রায় সঙ্গী হবেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলালউদ্দিন, গার্মেন্টস কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাস চালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান, মাদরাসা শিক্ষার্থী জান্নতুল ফেরদাউস।
প্রথম বারের মতো পদ্মা সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেন যাত্রা প্রসঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীনের পর যে অনুভূতি ছিল, ঠিক তেমনি প্রথম বারের মতো পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাড়ি দিবো এটা ভাবতে অবাক লাগছে।
ঠিক এমনই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন, গার্মেন্টস কর্মী রেখা বেগম। তিনি জানালেন, আমি সামান্য, খুব নগণ্য নারী। আমি কিভাবে এই সুযোগ পেলাম জানি না। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি যেন শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন।