হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)
প্রতিনিধিঃ বৃক্ষ নেই, প্রাণের অস্তিত্ব নেই, বৃক্ষহীন পৃথিবী যেন প্রাণহীন মহাশ্মশান।”অফুরন্ত সৌন্দর্যের এক মধুর নিকুঞ্জ আমাদের এ বাংলাদেশ । এই বাংলাদেশকে সবুজে শ্যামলে ভরে দিয়েছে প্রানদায়ী বৃক্ষরাজি। তাই দেশকে সুশীতল ও বাসযোগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। আবার মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ করে বৃক্ষ।
তাই মানব জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ”দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য,লও এ নগর”–কবির এ আরতি আজ অরণ্যে রোদন এ পরিণত হয়েছে।কেননা অরণ্য দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষের অমানবিক কুঠার ও করাতের আঘাতে। এটি হচ্ছে মানুষের আত্মঘাতী কর্ম। ঠিক এমন চিন্তা থেকে পৌরবাসীকে প্রাকৃতিকভাবে বেঁচে থাকার উপযোগী করে তুলতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান সমগ্র পৌরসভা জুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
গত সোমবার (৯অক্টোবর) থেকে পৌরশহরের বিভিন্ন একালাকার সড়কের দুই ধারে খাঁচায় বন্দি করে বিভিন্ন বনজ,ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা লাগানো শুরু করেছেন। মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর পৌর কাউন্সিলর ইসাহাক আলী জানান, ইতোমধ্যে পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় নানা জাতের সাত শত গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। সমস্ত পৌরসভা জুড়ে আরো বৃক্ষরোপণ করতে এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এ পৌরসভা ২০০৪ সালে স্থাপিত হলেও এমন পদক্ষেপ এর আগে কেউ নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে পৌর এলাকার বসতবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সড়কের ধারে আধুনিক ও পরিকল্পিত উপায়ে গাছ লাগিয়ে পৌর শহরকে প্রাকৃতিকভাবে বাসযোগ্য এবং সুসজ্জিত করার পরিকল্পনা নিয়েই এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, মানবজাতিসহ প্রাণিকূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব অপরিসীম।প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পরিকল্পিতভাবে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন।
তাই নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সমগ্র পৌরসভাজুড়ে ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের বনভূমির পরিমাণ পূরনে ভূমিকা রাখবে,অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে
পৌরসভাটি হয়ে উঠবে বসবাসের উপযোগী।