অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গ্রামাঞ্চলে অষ্টাদশী এক তরুণী ও তার চক্রের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর যৌন অপরাধের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ যৌনতা চক্রে পা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের কিশোর ও তরুণরা। টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোনের ভিডিও কলে নিজের অশ্লীলতা দেখিয়ে টাকা আয় করার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর চক্রের অন্যতম সদস্য সানজিনা মারিয়া (১৮)কে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিডিও কলে যৌনতার বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। ওই চক্রটি বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে কিশোরী ও সুন্দরী যুবতীদের ছবি ডাউনলোড করে তা বিশেষ সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ন্যুড বানিয়ে তা বিভিন্ন কিশোর ও যুবকদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে ভিডিও যৌনাচারের অফার দেয়। এতে বিকাশে টাকা পাওয়ার পর সে নিজেই যৌন অঙ্গ প্রদর্শন করে ভিডিও যৌনাচারে অংশ নেয়।
সম্প্রতি উপজেলার বনপাড়া ও জোনাইলের ২টি বিদ্যাপীঠের ১৮ জন ছাত্রী ও ১ জন শিক্ষিকার ছবি তার মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়। তাদের ছবি বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করে নগ্ন/অর্ধনগ্ন শরীর জুড়িয়ে দিয়েছে।
তার এই জালে আটকে উপজেলার কাটাসকোলের এক কলেজ ছাত্রের কাছ থেকে সানজিনা ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
এছাড়া তার নিজ নামে ৭ টি, নিজ মায়ের নামে ৩টি ও অন্যান্য বিভিন্ন ভুয়া নামে আরও ৮টি ফেসবুক আইডি রয়েছে। যা ব্যবহার করে সে দীর্ঘদিন ধরে যৌন ক্রাইম করে আসছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী একজনের বাবা রবিবার রাতে থানায় তথ্যাদিসহ রিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ও সহযোগী একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মোবাইল ফোনে নানা ধরণের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। আপাতত তদন্তের প্রয়োজনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই চক্রের সাথে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।