বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আটক করায় এ সময় নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, এ্যানিকে মধ্যরাতে ডাকাতের মতো দরজা ভেঙে গ্রেফতার করেছে। যেভাবে আটক করেছে তাতে প্রমাণ হয়, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই আবারও গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা দিয়ে একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে সরকার।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে শুধু বিএনপি নেতাদের সাজা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন বন্ধ করে তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে জোরপূর্বক বের করে মিথ্যা ফরমায়েশি রায়ে আটকে রাখা হয়েছে। সরকারপ্রধান বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন, যেমন- টুপ করে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া ইত্যাদি। সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যু চায়, সে কারণে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।