ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ভুবনেশ্বর নদে দুটি কুমির দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কুমির দুটি ধরতে অভিযানে নেমেছে বনবিভাগ।
শুক্রবার উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামের নারীরা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুটি কুমির দেখতে পায়। পরে সেটি এলাকার মসজিদের মাইক থেকে প্রচার করা হয়। পরে বনবিভাগকে খবর দেওয়া হয়।
রোববার সকাল থেকে কুমির দুটি ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “শনিবারও কুমির দুটি দেখা গেছে। আজ আর দেখা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে। ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মা নদী থেকে হয়তো কুমির দুটি এখানে এসেছে।”
পাটপাশা এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে নদে কুমির দুটি দেখতে পাওয়া যায়। পরে সেগুলো এক কিলোমিটার দূরে তেলিডাঙ্গি এলাকায় চলে যায়। শনিবার আরও দুই কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পাটপাশা এলাকায় দেখতে পায় স্থানীয়রা।
তিনি বলেন, “কুমির দুটির একটি কালো, অপরটি সাদা। মাথা ভাসিয়ে রাখছে, পাঁচ মিনিট পর পর ডুব দিচ্ছে, আবার মাথা তুলছে।”
নদের পানিতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুকে গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্কে কেউ নদীতে নামছে না বলেও জানান প্রদীপ।
একই গ্রামের বাসিন্দা আরতি রানী বিশ্বাস বলেন, “শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কুমির দেখা গেছে। রোববার সকাল থেকে দেখতে পাচ্ছি না। কালো কুমিরটি অনেক বড়, সাদাটা একটু ছোট।”
আরেক বাসিন্দা করিম শেখ বলেন, “মনে হয়, আরও দূরে চলে গেছে।”
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. বকলুকার রহমান বলেন, “কুমির বেশিদূর এগোতে পারবে না। কারণ সামনে বাঁধ দেওয়া আছে, সেখানে বাধা পাবে। ভাটিতে এগিয়ে গেলেও সেখানেই থামবে।”