প্রথমে আফগান ব্যাটারদের দাপট দেখল দিল্লি। তার পর ইংরেজ ব্যাটারদের বিরুদ্ধে আফগান বোলারদের রাজত্ব চলল। ২৮৪ রান করে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ড শেষ ২১৫ রানে।
এ বারের বিশ্বকাপে বিরাট অঘটন। রবিবার গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল আফগানিস্তান। প্রথমে আফগান ব্যাটারদের দাপট দেখল দিল্লি। তার পর ইংরেজ ব্যাটারদের বিরুদ্ধে আফগান বোলারদের রাজত্ব চলল। ২৮৪ রান করে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ড শেষ ২১৫ রানে।
টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার। আফগানিস্তানের বড় রান তোলার ভিতটা গড়েছিলেন রহমানুল্লা গুরবাজ। ৮০ রান করেন তিনি। কিন্তু রান হয়ে যাওয়ায় শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা ওপেনার ৫৭ বলে ৮০ রান করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। মিডল অর্ডারে রান করেন ইকরাম আলিখিল। তিনি ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন। শেষ বেলায় রান করেন মুজিব উর রহমান। তিনি ১৬ বলে ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দেন ২৮৪ রানের লড়াকু স্কোরে।
২৮৪ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুতেই হারায় জনি বেয়ারস্টোকে। ৪ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি। বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি জো রুটও। আফগান স্পিনার মুজিবের বল হঠাৎ নিচু হয়ে যায়। বুঝতেই পারেননি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। বোল্ড হয়ে যান রুট। ওপেনার দাউইদ মালান ৩২ রান করে আউট হয়ে যান। এর পরেই ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। জস বাটলার (৯), লিয়াম লিভিংস্টোন (১০) এবং স্যাম কারেন (১০) তেমন রান করতে পারেননি।
লড়াই করছিলেন হ্যারি ব্রুক। কিন্তু তাঁকে কেউ সঙ্গ দিতে পারলেন না। রবিবার আফগানিস্তানের স্পিনারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাল বল করেন পেসারেরা। ফজলহক ফারুকি এবং নবীন উল হক ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রান করতে সমস্যা হচ্ছিল রুটদের। সঠিক লাইন, লেংথের সঙ্গে স্লোয়ারের ফাঁদে ফেললেন ব্যাটারদের। প্রশংসা করতে হবে মুজিবের। ২২ বছরের তরুণ স্পিনারের বল বুঝতেই পারছিলেন না ইংরেজ ব্যাটারেরা। ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন মুজিব। রশিদ খানও ৩ উইকেট নিলেন। ২ উইকেট নেন মহম্মদ নবি।