আগামী ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম-দোহাজারি-কক্সবাজার রেলসড়ক দিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর রেল চলাচলের ট্রায়াল রান হবে দুই নভেম্বর। ইতিমধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচল শুরু হলে নিয়মিত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে পর্যটন শহর কক্সবাজারে ট্রেন যাবে। এতে অল্প খরচে যাত্রীরা কক্সবাজার থেকে আসা যাওয়া করতে পারবেন। বহু প্রতিক্ষীত কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের মধ্যদিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে।
কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে প্রকল্প পরিচালক, রেলসচিবসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে দোহাজারী থেকে রেলপথ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় নতুন নির্মিত বিভিন্ন সেতুও পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী।
কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন
কী নেই এই ঝিনুক আকৃতির এই আইকনিক রেলস্টেশনে! নিচতলায় থাকছে টিকেট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, শপিংমল ও রেস্তোরাঁ। কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি। আছে এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথসহ নানা সুবিধা।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই অত্যাধুনিক রেলস্টেশনে এক সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন অন্তত ৪৬ হাজার যাত্রী। স্টেশনের প্রায় সব কাজই শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের কিছু সাজ সজ্জার কাজ।
দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেল স্টেশনটির দূরত্ব সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে চান্দেরপাড়া এলাকার। ২৯ একর জমির ওপর ২২৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছে দেশের সব থেকে সুন্দর রেল স্টেশনটি।
এক লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের ছয়তলা ভবনের রেলস্টেশনে চারদিকে গ্লাস ফিটিংস ও চীন থেকে আনা স্টিলের ক্যানোফি স্থাপন করা হয়েছে।