প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের নেতৃত্বে ঢাকায় অবস্থানরত ওআইসির সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লার্বি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব এস এম সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, ব্রুনেইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফাথিয়া আল-বুলুশি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাডেন উসমান এফেন্দি ও মিসরের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে রাষ্ট্রদূতদের আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ওআইসির সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, বিশেষ করে সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অতীতের মতো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। আগামী শুক্রবার দেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাত করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
গাজা ও এর আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মমতা বিস্তারিত তুলে ধরে বৈঠকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী সবচেয়ে উন্নত মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
ইউসেফ ওয়াই রমাদান বলেন, গাজার একটি হাসপাতালে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার সময় হাসপাতালে থাকা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ছিল শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী। নিরাপদ আশ্রয় বিবেচনা করে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা।
বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকেরা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।