ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৪৭৮ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। গাজায় ইসরায়েলি হামলা ১৩তম দিনে গড়িয়েছে। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার (১৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরের মতো স্থানেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও অভিযানে গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ৪৭৮ জনে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ৬৫ জন বাসিন্দা। হতাহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। হামলার শিকার শত শত ফিলিস্তিনি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান ঘোষণা করার সময় ‘চলমান ইসরায়েলি হামলা সৃষ্ট ভয়াবহ পরিণতির ওপর জোর দেন। আল-কেদরা জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার ধারাবাহিকতা জাতিগত নির্মূলের মতো কাজ এবং এটি ফিলিস্তিনিদির অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-আহলি আরব নামের একটি হাসপাতালে বর্বরোচিত হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে জানানো হয় হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭১ জন। আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।