ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ জন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার গভীর রাতে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সেখানকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা ইউনিট জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলে এই ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন। গাজার হাসপাতালগুলো আহতদের চিকিৎসা করতে কার্যত লড়াই করছে।
উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমরা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে ভুগছি।’
গাজায় আটটি শরণার্থী শিবির রয়েছে। এর মধ্যে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরটি সবচেয়ে বড়। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে তিনটি স্কুল রয়েছে যা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নেয়ার ইস্ট বা ইউএনডব্লিউআরএ-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয় শত শত বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
এর আগেও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, গত ৯ অক্টোবর এই ক্যাম্পের একটি বাজারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজার ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচিত স্থানে হওয়া সেই হামলায় কতসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাদের এই নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। হামলায় আহত হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। যদিও ইসরায়েল দাবি করছে তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে হামলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাজার বেসামরিক নাগরিকরা।