প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কুড়িগ্রাম পৌরসভা ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের সাত গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোক পৌরসভার টাপুভেলাকোপা এলাকায় দুইটি সেত নির্মাণসহ রাস্তা সংস্কারের দাবী জানাচ্ছে।
২০১৩ সালে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা এলাকায় চামরগোলা-ভেলকোপা রাস্তায় হানাগর নালার ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘের একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। পৌরসভার নামাভেলাকোপা, তপুভেলাকোপা ও ঝাকুওয়াাপাড়া এবং পাঁচগাছী ইউনিয়নের শিতাইঝাড়, নওয়াবশ, উত্তর নওয়াবশ ও কদমতলা গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোক রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। কুড়িগ্রাম শহরে আসার জন্য এটাই একমাত্র সহজ পথ। কিন্তু, ২০১৭ সালে হানাগর ব্রীজের সাথে রাস্তা সংযোগকারী পূর্ব পাশের অংশ এবং চর ভেলাকোপা গ্রামের রাস্তার কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে যায়। সরকারের তেমন উদ্যেগ না থাকায় স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে রাস্তার দুটি ভাঙ্গা অংশে বাঁশের সেতু নির্মাণ করে পথচারীদের পাড়াপাড়ের ব্যবস্থা করেছে।
পাচগাছী ইউনিয়নের নওয়াবশ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম (৫৫) জানান, পাচগাছী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মানুষজন জেলা শহরে আসার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে। বন্যায় রাস্তাটি আংশিক ধ্বসে পড়ায় লোকজন জেলা শহরে পণ্য পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত তিন কিলোমিটার বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে ।
ঐ ইউনিয়নের চর ভেলাকোপা গ্রামের গরীব দোকানদার আব্দুর রশিদ (৪৪) বলেন, প্রতিদিন কুড়িগ্রাম শহরে আসা-যাওয়ার জন্য প্রায় দুই হাজার লোক এই বাঁশের সেতু দুইটি ব্যবহার করে। অনেক সময় পথচারীরা সেতু থেকে পিছলে পানিতে পড়ে যায়।
পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার জামশেদ আলী টুংকু বলেন, “বন্যায় হানাগর ব্র্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে সাত গ্রামের লোক ছয় বছর ধরে যোগাযোগ সমস্যা নিয়ে চলছে। পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামে ব্রীজ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা সংস্কারের জন্য কয়েকবার মেয়র বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু কোন ফল পাইনি।”
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র মোঃ কাজিউল ইসলাম বলেন, “আমি বন্যায় চামারগোলা-ভেলকোপা রাস্তার ধ্বসে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছি এবং ভেঙ্গে পড়া অংশ দইুটর ওপর দুটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দের আবেদন করেছি। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ব্রীজের কাজ শুরু করা হবে।