গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি :
দু’দিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে দিনাজপুরের হিলিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। দূর্গাপূজাঁয় টানা ৭ দিন আমদানি বন্ধ থাকায়, ভারত অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধি, নতুন করে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংগুলো চাহিদা মতো এলসি ( লেটার অফ ক্রেডিট) না দেওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি পার হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে দাম বাড়ার প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে নেই দেশীয় পেঁয়াজ। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ।
আজ শনিবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়,দু’দিন আগে যে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে তা এখন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানিকরা নিন্ম মানের (ব্যালেন্স) পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান,দু’দিন আগেও পোর্টের পাইকারদের কাছ থেকে মানভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে কিনে ৫ টাকা লাভে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার পোর্ট বাজারেই এক লাফেই পাইকারী বাজারে কেজিতে ২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা বেশী দামে কিনে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন ,শুধু বাংলাদেশে নয়,বেশ কিছু দেশে ভারতীয় পেঁয়াজের কদর থাকায় তারা বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করছে। ফলে ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ব্যাংকগুলো এখন নতুন করে এলসি না দেওয়ায় চাহিদা মতো আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি আরো বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি পার হবে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, টানা ৭ দিন বন্ধের পর গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ওই দিন ২০ টি ভারতীয় ট্রাকে ৬শ’ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।