বিএনপি-জামায়াতের ডাকে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সঙ্গে কার্যালয়ের একপাশ বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সকাল থেকেই রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোতে কম সংখ্যক গণপরিবহন লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লা গাড়ি ছাড়তে দেখা যায়নি।
জনসাধারণের নিরাপত্তায় গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে থেকেই রাজধানীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এদের মধ্যে রমনায় ১, মতিঝিলে ২ ও পল্টনে ২ প্লাটুন বিজিবি টহলে থাকবে। সচিবালয়ে ২ ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হরতাল ঘোষণার পর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৭টি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে ‘পুলিশের হামলার প্রতিবাদে’ বিএনপি এই হরতাল ডাকে। পরে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন। গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ অধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো বিএনপির হরতালে সমর্থন দিয়েছে।