বিএনপি-জামায়াতের হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচিতে গণপরিবহন বন্ধ না করার ঘোষণা দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। রোববার সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্যাহ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি দাবি করেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল প্রত্যাখান করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
রোববার সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ ও হরতালে গত দুই দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে ১২ বাসে আগুন দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা । একই সঙ্গে প্রায় ১০০ বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মালিকেরা সকাল থেকে গাড়ি বের করেছে। যাত্রী না থাকার ফলে গাড়ির সংখ্যা কম ছিলো। দূরপাল্লার গাড়িও বের হয়েছে, শহরের গাড়িও বের হয়েছিল। কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ড্রাইভার হত্যা করা হয়েছে। ফলে একটুতো ভয় কাজ করে। শুধু আজকে না বিএনপির সব সময় এই ধরনের কাজ করে আসছে। আমরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখব ইনশাল্লাহ।
মালিক সমিতির এই নেতা বলেন, মালিকদের গাড়ি পুড়িয়ে ও শ্রমিকদের রক্ত ঝরিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করার সুযোগ বিএনপিকে দেয়া হবে না। ২০১৩-১৪ সালে পাঁচ হাজার পরিবহনে অগ্নিকাণ্ড করা হয়েছে এবং ৫০০ শ্রমিককে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এখনো সে পথে হাঁটছে বিএনপি। তাদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না মালিকরা। তারা একবার মাঠে নামলে আন্দোলনকারীরা রেহাই পাবে না।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, রোববার সকালে ডেমরায় অছিম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সে বাসে হেলপার ঘুমানো ছিল। তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। একই সঙ্গে বাসে অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুর প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি জানান, দুই দিনে মোট ১১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ২৮ তারিখে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বসুমতী পরিবহনের একটি বাস, মৌচাক ফ্লাইওভারের সামনে বলাকা এক্সপ্রেসের একটি বাস, হেমায়েতপুরে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস, কোনাবাড়ীতে আজমেরী পরিবহনের একটি বাস এবং কালশী মোড়ে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংবাদ সংম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি ছাড়াও মালিক সমিতির নেতারা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।