আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লিখা নেই বা পৃথিবীর কোনো আইনে নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা দেখেছি নির্বাচনের সময় অনেক রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে না। সুতরাং যাদের জনসমর্থন নেই তারা নির্বাচনে আসবে না এটাই স্বাভাবিক।’
শনিবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সহিংসতাপূর্ণ। তারা সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো কর্মসূচি দিচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ কোনো সুপারিশ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, যেকোন রাজনৈতিক দল বা প্রতিষ্ঠান যদি কোন আইনের বিরুদ্ধে কাজ করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
এছাড়া ইসির চিঠি গ্রহণ করার মতো অবস্থায় না থাকা বিএনপির জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কর্নেল অব. ফারুক খান।
এর আগে সকালে কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে আসে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি(বিএসপি), ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশ, গণফ্রন্ট, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), তৃনমুল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টি, মুসলিম লীগের একাংশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও গণফোরামের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।
তবে এলডিপি, বিজেপি কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গনতন্ত্রী পার্টি, মুসলিম লীগ বিএমএল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যান পার্টি ও খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিরা অংশ নেয় নিই। এছাড়া সিদ্ধান্ত জানায়নি আরও ৩টি রাজনৈতিক দল।
এদিকে বিকেল ৩টায় বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ আরও ২২টি রাজনৈতিক দলের ২জন করে প্রতিনিধির সাথে ইসির সংলাপের কথা রয়েছে। যদিও বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এই সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।