গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল। আবহাওয়ায়ও এসেছে পরিবর্তন। অনুভার করা যাচ্ছে শীতের পদধব্বনী। সকাল-সন্ধ্যা হালকা শীতের আমেজ। পুরোপুরি শীত আসতে যদিও আরও কিছুদিন বাকি। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের লেপ-তোষকের কারিগরগণ। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করছে তারা।
আধুনিক যুগে নানা ধরনের বাহারি কম্বল বাজারে আসায় আগের তুলনায় বেচাকেনা কমেছে বলে আক্ষেপ লেপ-তোষকের কারিগরদের। দোকানে দোকানে চলছে লেপ, তোষক, বালিশ, কোলবালিশ ও জাজিম তৈরির কাজ। আকারভেদে প্রতি পিস লেপ বিক্রয় করা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, তোষক ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, জাজিম ৪৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা ও বালিশ জোড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। লেপ-তোশকের দোকান মালিকগণ বলেন, বছরের প্রায় আট মাস তেমন কাজ হয় না অলস কাটাতে হয়। শীতের সময় ৪ মাসের আয়-রোজগার দিয়ে বাকি আট মাস চলতে হয়। দিন রাতে কাজ করতে হয় শীতের মৌসুমে।
তবে, আধুনিক যুগে বাহারি ডিজাইনের কম্বল বাজারে আসায় কমে এসেছে লেপ-তোষকের চাহিদা। সামনে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ- তাষকের চাহিদাও যেমন বাড়বে তেমনি আমাদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি উইনিয়নের আকতারুজ্জামান বলেন এখন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত কিছুটা ঠান্ডা অনুভার হয়। লেপ-তোষক ক্রয় করতে আসা শামিউল ইসলাম বলেন, শেষ রাতে ঠান্ডা লাগে, আগেভাগেই একটি পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে তৈরী করে নেওয়া হচ্ছে। সাথে একটি নতুন লেপ ক্রয় করা হয়েছে। তবে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপের দাম বেড়ে গেছে।