ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নারী ও শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুসলিম নারীরা যেন স্বাধীনভাবে জনসমক্ষে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
সৌদি আরবের জেদ্দার হিলটন হোটেলে অনুষ্ঠিত সোমবার ইসলামে নারীর মর্যাদা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এই গণহত্যাকে অমানবিক ও বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেন।
ইসলামে নারীর মর্যাদা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সম্মানীত অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পশ্চিমাদের কথিত মানবাধিকারের সমালোচনা করে অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শেখ হাসনিা জানান, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকবে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দুই লাখ নারী ও কিশোরীর অমানবিক নিপীড়নের কথা উল্লেখ করেন। তুলে ধরেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাবা-মাসহ পরিবারের নারী ও শিশুদের নির্মম হত্যার কথাও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০১৭ সালে মিয়ানমারের হাজার হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে আশ্রয় দিয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবগুলো-
প্রথমত, ফিলিস্তিনে অবিলম্বে সংঘাতের অবসান এবং সেখানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের- বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপর অপরাধের বিচার।
দ্বিতীয়ত, সমস্ত অপরাধ, সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়াকে ‘না’ বলুন।
তৃতীয়ত, এসডিজি-৫ পূরণের লক্ষ্যে লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে যথাযথ মনোযোগ দিন।
চতুর্থত, মুসলিম নারীরা যেন ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে জনসমক্ষে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন- তা নিশ্চিত করুন।
পঞ্চমত, নারী ক্ষমতায়ন ও মূল স্রোতে নারীদের ভূমিকার উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশ, বন্ধুপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশেরে নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারামে ওমরাহ পালন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।