সেমিফাইনালে ওঠার জন্যে যদি কোনও দলকে অন্তত ২৮৭ রানে জেতার লক্ষ্য দেওয়া হয়, তা হলে তাঁকে অসম্ভব ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়? বিশেষত যদি প্রতিপক্ষের নাম হয় ইংল্যান্ড। শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নামার আগে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য এটাই। কিন্তু ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা বলেই অধিনায়ক বাবর আজম এখনও আশা হারাচ্ছেন না। বাজি রাখছেন এক সতীর্থের উপর। তাঁর মতে, এখনও পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব।
অবাক করা ব্যাপার হল, গত বারের বিশ্বকাপেও পাকিস্তানকে এমন সমীকরণের সামনে পড়তে হয়েছিল। ২০১৯ সালে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩১৬ রানে হারাতে হত। জেতা তো দূর, পাকিস্তান অত রান তুলতেই পারেনি। ৩১৫-৯ তোলে তারা। ৯৪ রানে জিতলেও কোনও লাভ হয়নি। এ বার কী হবে?
শুক্রবার দুপুরে ইডেনে বসে বাবরের উত্তর, “আমরা বিশ্বাস করি এটা করতে পারি। নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। মাঠে গিয়েই ধুমধাড়াক্কা চালালে হবে না। কী ভাবে প্রথম ১০ ওভার, তার পরের ২০ ওভার খেলব সেই পরিকল্পনা করতে হবে। জুটি গড়া, কাদের ক্রিজে থাকতে হবে সে সবও ছকে নিতে হবে আগে।”
এক সতীর্থের উপরে বাজি ধরেছেন বাবর। তিনি ফখর জ়মান। ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যিনি ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। আগের ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস খেলে ৮১ বলে অপরাজিত ১২৬ রানই শুধু করেননি, দলকে ডিএলএস নিয়মে জিতিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে বাবর বলেছেন, “যদি ফখর ২০-৩০ ওভার ব্যাট করে দিতে পারে তা হলে বড় রান তুলতেই পারি। এর পর (মহম্মদ) রিজ়ওয়ান এবং ইফতিকার আহমেদ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করলেই পারি। সে রকমই পরিকল্পনা হয়েছে।”
শনিবার পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করতেই হবে। কারণ রান রেট উন্নতি করার ক্ষেত্রে রানের ব্যবধানে জয়ই বেশি কাজে লাগে। বাবর এত হিসাব-নিকাশ মাথায় রাখছেন না। বলেছেন, “এখনও একটা ম্যাচ বাকি। আগে থেকে কিছুই বলতে পারেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের মূল্য চোকাতে হয়েছে আমাদের। সেই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। তার জন্যেই আজ এই জায়গায়।”