উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইল সদর উপজেলায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন যাবৎ অনশন করছেন এক নারী। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে তিনি নড়াইলে সদর উপজেলার দলজিৎপুর প্রেমিক তাহেরের বাড়িতে অনশনে বসেন। এ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে প্রেমিক তাহের।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের দলজিৎপুর গ্রামের বাবু মোল্যার ছেলে তাহের মোল্যার সাথে একই গ্রামের ভুক্তভোগী ওই তরুণীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তরুণীর পরিবার ঘটনাটি জানার পর তার অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের পরও তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে প্রেমিক তাহের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য করে। স্বামীকে তালাক দিয়ে সংসার ছড়ে চলে আসেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশ-বৈঠক হয়। এতে তিন মাস পর বিয়ে করে ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় প্রেমিক তাহের। কিন্তু তিন মাস পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে তাহেরের বাড়িতে অনশন করছেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, তাহেরে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার কথায় সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসছি। কিন্তু তাহের এখন আর তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। সে তাহেরকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে এখন অনশন করছেন। ওই তরুণীকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন।
এদিকে অভিযুক্ত তাহেরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত তাহের মোল্যা। এ ব্যপারে তাহেরের পরিবারের সদস্যরাও কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এ বিষয়ে তিনি শুনেছি, দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান, এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। চেয়ারম্যান মেম্বরদের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।