গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
ছয় ঋতুর বাংলাদেশে শীত এলেই মনে পড়ে খেজুরের রসের কথা। শীতকাল মানেই পিঠাপুলির আনন্দে ও স্বাদে জড়িয়ে থাকে খেজুরের রস ও গুড়। এ ঘ্রাণে যেন মুখরিত হয়ে উঠেছিল চারিদিক। পিঠাপুলির উৎসব হতো প্রতিটি বাড়ীতে। এখন আর খেজুরের রস ও গুড়ের পিঠাপুলির উৎসব বাড়ীতে বাড়ীতে হয় না। কালের পরিবর্তনে গ্রাম কিংবা শহরে বিল্ডিং বেড়ে যাওয়ায় কাটা পড়ছে অজস্র গাছ। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো খেজুর গাছ। গাইবান্ধায় দিন দিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা।
এক সময় গ্রামাঞ্চলে সর্বত্রই চোখে পড়ত খেজুরের গাছ, বর্তমানে যা কমে গেছে অনেকাংশেই। অতীত থেকেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে যেন আকাশ পানে তাকিয়ে শোভাবর্ধক হিসেবে থাকে খেজুর ও তাল গাছ। দেখা যেত পুকুরপাড়ে, নদীর ধারে, মাঠের দুপাশে, কিংবা ক্ষেতের আইল ঘেঁষে, এমনকি বাড়ির এককোণে শোভাবর্ধন করত খেজুর গাছ। সময়ের পরিবর্তনে বদলে গেছে এ চিত্র। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের খেজুর রস সংগ্রহকারী শফিকুল আলমের বলেন, আগে প্রত্যেক শীত মৌসুমে অন্যের ৮/১০টি খেজুর গাছ নামমাত্র মূল্যে নিয়ে কেটে রস বিক্রয় করে সংসার চালাতাম। বর্তমানে গাছের সংখ্যা কম।
অনেকেই কেটে বাড়ি করছে, আবার রাস্তা বড় করতে গাছ কাটা পড়েছে। পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উপদেষ্টা শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের সাথে মিশে রয়েছে খেজুর গাছ ও রস। শীতকাল মানেই কিছুটা আনন্দ বিরাজ করে পিঠা, পায়েসে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে। গাছ কেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, খামার নির্মাণ করছে। আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জন্য খেজুর গাছ রক্ষা করা খুবই জরুরী।