মোঃ আব্দুস সালাম - চিরিরবন্দর ( দিনাজপুর ) প্রতিনিধি :-
চিরিরবন্দরে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছেন উপজেলাবাসী ।
শনিবার ( ১৮ ) বেলা ১১ টায় দিকে উপজেলার ঘুঘুরাতলী মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এতে বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী অফিসার এ কে এম শরীফুল হক, চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলুর রশিদ , উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার শাহা , উপজেলা মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু, এডভোকেট পারভেজ প্রমুখ।
১ ঘন্টা ধরে চলা মানববন্ধনে বক্তারা বলেন ধর্ষক কোন দলের নয়, সে যে দলের হোক না কেন তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, রাজনৈতিক ইন্ধন - বন্ধ করতে হবে, কোন ততবিরে যেন অপরাধীরা পার পেয়ে না যায় সে বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে ও নির্দেশ করেন তারা ।
এই মামলায় এজাহারভ’ক্ত ৪ জন আসামি ৫ দিন ও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ ।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ ।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন
পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। তাঁকে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় তাঁর বড় বোন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১১টায় চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নং ১৬ ।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী (১৮) বলেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক তরুণের (২৪) সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণ পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তাঁদের বাসায় এসে মা-বাবার কাছে বিয়ের কথা জানান। কিন্তু পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি ওই তরুণের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে আসেন। পঞ্চগড়ে যাওয়ার কোনো ট্রেন না পেয়ে উপজেলার ঘুঘরাতলী বটগাছের নিচে বসে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। স্টেশন থেকে দুটি ছেলে তাঁদের অনুসরণ করে সেখানে আসেন। ওই দুজনের একজন স্থানীয় এক নেতার গাড়িচালকের ছোট ভাই বলে জানতে পারেন তিনি। নাম মোবিন (২০)।
ভুক্তভোগী তরুণী আরো বলেন, ঘুঘরাতলীতে রাত ১০টার দিকে মোবিনসহ দুজন তাঁদের গন্তব্যের কথা জানতে চান। তাঁদের সঙ্গে যোগ হয় মাস্ক পরা আরও তিনজন। সব শুনে মোবিন তাঁদের বলেন, ‘তোমরা পালায় যাচ্ছো কেন ? তোমরা যদি বিয়ে করবা আমরা তোমাদের বিয়ে দেব। এখানে আমাদের সভাপতির ছেলে আছে, আমরা বিষয়টা ওনাকে জানাইছি। তোমরা চলো আমাদের সাথে।’ তাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি না হলে মারধর শুরু করেন ওই তরুণেরা। একপর্যায়ে একটা ভ্যানে তুলে মুঠোফোন কেড়ে নেন। এরপর একটি নির্মাণাধীন ভবন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণকে অন্যত্র আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁকে ধানখেতে ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা।
আসামিরা খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন চিরিরবন্দর থানার ওসি মোঃ বজলুর রশিদ #