মোঃ আব্দুস সালাম-চিরিরবন্দর ( দিনাজপুর ) প্রতিনিধি :
চিরিরবন্দরে গণধর্ষন মামলার অভিযুক্ত ৫ আসামির মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে আইন প্রয়োগকারি সংস্হা । গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে গণধর্ষনের ওই ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে রবিবার (১৯ নভেম্বর ) দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত মহিলা পরিষদের নেত্রীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।
এদিকে ঘটনা তদন্তে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে জড়িত প্রকৃত অপরাধিদের বিচারের আওতায় আনতে আন্দোলনে নেমেছে মহিলা পরিষদের নেতাকর্মীরা। পুলিশ সুপারের কাছে রবিবার ১৯ নভেম্বর স্মারকলিপি পেশ করেছেন তারা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘর বাঁধার স্বপ্নে গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে প্রেমিকের সাথে পাড়ি জমানোর সময় চিরিরবন্দরের ঘুঘরাতলীতে প্রেমিকসহ তরুনীকে আটক করে করে স্হানীয় কয়েকজন যুবক। এসময় উভয়কে ভ্যানে তুলে একটি নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে যায় তারা। এসময় প্রেমিককে আটকে রেখে তরুনীকে ধর্ষনের চেষ্টা চালানোর সময় দ্বীতল ভবনের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিয়ে আহত অবস্হায় কাতর তরুনীকে ধানক্ষেতে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১ টা পর্যন্ত পালাক্রমে গনধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে ফোন করলে প্রেমিকসহ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ। ধর্ষিতাকে প্রথমে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তরুনীর ভাষ্য মতে তাকে ৫ জন ধর্ষন করেছে। তবে বোনকে ধর্ষনের ঘটনায় থানায় ৪ জনকে আসামি করে পরদিন ১৫ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৭/৯(৩)/৩০ এর ধারায় মামলা করেছেন ধর্ষিতার বড় বোন। মামলা নম্বর- ১৬ অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে চিরিরবন্দরের রেল কোলনীর আনছার আলীর ছেলে মুবিন (২৩), মাঝাপাড়ার আব্দুল গনি দুলুর ছেলে আল-আমিন (২৬), রেল কোলনীর আসাদুল হকের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৭) এবং হাবিবুর রহমান হবির পালিত ছেলে রাব্বি (২৬)।
জানা গেছে, ধর্ষন ঘটনাটির দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্হা নিতে সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মমিনুল করিম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সমন্বিত পরিকল্পনায় অভিযানে নামেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন, চিরিরবন্দর থানার ইনচার্জ ইনচার্জ বজলুর রশিদ, মামলার আই ও পুলিশ পরিদর্শক জাকির শিকদার, উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর বাদশা রনিসহ অন্যান্যরা।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীর অবস্থান সনাক্ত করে গতকাল ১৮ নভেম্বর ভোরে চিরিরন্দরের রেলকলোনীতে মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ( এজাহারে নাম নেই) রুবেল ইসলাম (৩০) এবং র্যাব-৬ এর সহায়তায় বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন নরেন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া গ্রাম হতে এজাহার নামীয় ২নং আসামী আল-আমিন (২৬) কে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এজাহার নামীয়সহ জড়িতরা আত্মগোপন করেছে ।