সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। অনলাইন এবং কাউন্টারে ১, ২ ও ৩ ডিসেম্বরের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইনে দেখা গেছে, টিকিট বিক্রি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে ১ ডিসেম্বরের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।
আগামী ১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেনটি। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে রাজধানী ঢাকার ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই ট্রেনটিতে থাকবে ১৫টি বগি। এসব বগিতে ৭৮০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি এসি বগিতে ৩৩০টি এবং ৯টি নন-এসি বগিতে ৪৫০টি আসন।
কক্সবাজার থেকে ৮১৩ নম্বর ট্রেনটি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রামে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিকেল ৪টায় ছেড়ে বিরতিহীনভাবে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৮টায়। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ৩ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
অন্যদিকে ৮১৪ নম্বর ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে। সেখানে ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ৪টায় ছেড়ে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। রেলওয়ের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট বলছে, কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজারের যাত্রীরা ৮ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ভ্যাটসহ ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া এক হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া দুই হাজার ৩৮০ টাকা।
রেল কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ট্রেনটিতে দুই ধরনের আসন থাকবে। এসি এবং নন-এসি। এর মধ্যে কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতে এসি আসনের ভাড়া পড়বে ভ্যাটসহ এক হাজার ৩২৫ টাকা এবং নন-এসি আসনের ভাড়া পড়বে ৬৯৫ টাকা।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।