মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ , কালকিনি(মাদারীপুর)প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে ৪ মাদ্রাসা ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে যখম করেছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক। এর মধ্যে এক ছাত্রর আঙ্গুল ও অন্য ছাত্রর হাত যখম হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা বাশগাড়ি ইউনিয়নের খাশের হাট বন্দরের খাশের হাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিম খানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও একই গ্রামের বাসিন্ধা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও রাতে এ ঘটনা ঘটনা প্রকাশ পায়। এর পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালাতক রয়েছেন। কালকিনি ইউএনও এবং থানা অফিসার (ওসি) ঘটনা স্থান পরির্দশ করেন, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জনান, বিকেলে মাদ্রাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করার সময় একটি মুখপোড়া হনুমান আসে ছাদের উপর। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে এ ঢিল ছুরার ঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান হুজুরের কাছে বিচার দিলে হুজুর তাদের বকাঝকা দিয়ে আচরের নামাজ পড়তে চলে যান। এর পর মাদ্রাসার ক্লাশ শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ, ৪ শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাবিবর আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে বেতদিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি ও কিল ঘুষি দিয়ে যখম করেন। এতে সাইম প্যাদার হাত যখম হয় ও আবির হোসেন এর বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। তারা উভয় প্রথম জামাতের ছাত্র।
এ ঘটান জানাজানি হলে অভিভাবকসহ অন্যান্যরা মাদ্রাসা ঘিরে রাখে। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালিরা পরিস্থিথি নিয়ন্তনে আনার চেষ্ঠা করেন। এর মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানা ওসি নাজমুল হাসান ঘটনা স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থী দের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। এর পরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন।
এ সময় ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে, ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থী দের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। এর পরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছি। ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।