ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার চরফ্যাশনে দোকান থেকে তুলে নিয়ে সড়কে ফেলে বাবা ছেলেকে নির্মমভাবে মারধর ও একলক্ষ টাকা চাঁদা এবং একটি দামী মোবাইল ফোন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরে আহত ইউসুফ মাতাব্বর ও ইমতিয়াজ বাপ্পী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের শিবা চৌমুহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী বাবা ছেলে হলেন-চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তর শিবা গ্রামের মৃত মুজাম্মেল হক মাতাব্বরের ছেলে ইউসুফ মাতাব্বর ও ইউসুফ মাতাব্বরের ছেলে ইমতিয়াজ বাপ্পী। তবে ব্যবসায়ী ইউসুফ মাতাব্বর আবদুল্লাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইমতিয়াজ বাপ্পী আবদুল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
ব্যবসায়ী ইউসুফ মাতাব্বর ও ইমতিয়াজ বাপ্পী জানান, চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা যুবলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন তোতা, আজাদ পাটওয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সভাপতি সিহাব খন্দকার ও সাধারন সম্পাদক নেয়ামুল সহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে শিবা চৌমুহনী বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইমা স্টোর এ- হার্ডওয়্যার দোকান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে সড়কের ফেলে লোহার রড, কাঠ দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন। মারধরের পর সেখান থেকে হোন্ডায় তুলে বসতল্লাহ চৌমুহনী নিয়ে এক ঘন্টা আটকিয়ে রাখেন এবং একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। ওই টাকা না দিলে পুলিশে দিবে বলেন। পরে নগদ একলক্ষ টাকা ও একটি দামী মোবাইল ফোন দিলে বাবা ছেলেকে ছেড়ে দেন তারা। মুক্তি পেয়ে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তারা হলেন- আব্দুল্লাহপুর ৬ নং ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন মাঝির ছেলে যুবলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন তোতা, ১ নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন পাটাওয়ারীর ছেলে যুবলীগ নেতা আজাদ পাটওয়ারী, ৪নং ওয়ার্ডের মফিজ মেম্বারের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত ছায়েদ খন্দকারের ছেলে ছাত্রলীগ সভাপতি সিহাব খন্দকার ও ৪ নং ওয়ার্ডের রসিদ মাঝির ছেলে ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক নেয়ামুল।
এ ঘটনায় আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা তোতা, আজাদ, কামরুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ সভাপতি সিহাব খন্দকার ও সাধারন সম্পাদক নেয়ামুল বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা। আমাদের সাথে এমন কোন ঘটনা ঘটে নাই।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।