নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তরুণ নেতা অ্যাডভোকেট মো. জামাল হোসেন মিয়া। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে ছাত্র রাজনীতির গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এলাকার অসহায় মানুষের পাঁশে থেকে সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
সেই জনপ্রিয়তার কারণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ফরিদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে এই ঘোষনা দেন তিনি।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ইতিমধ্যে জানান দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের জনগনের উদ্দেশ্যে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। তিনি জন্মলগ্ন থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করে মৃত্যু অবধি আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।
এছাড়া তিনি কয়েকবার বিপুল ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবায় কাজ করেছেন। বর্তমানে আমার ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন। বাবা-মা ও ভাইয়ের মতো আমিও নিজেকে ফরিদপুর-২ আসনের জনগনের সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। তাই নেতাকর্মী ও জনগনের দাবির মুখে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সালথা নগরকান্দার অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, অনেকে হামলা-মামলার শিকার হয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে এ সকল হামলা-মামলা নির্যাতন বন্ধ করে এই এলাকার আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে যাব।
নির্বাচন নিয়ে এ্যাডভোকেট জামাল মিয়া বলেন, নির্বাচনে আমার পক্ষে যে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে আশা করি নগরকান্দা-সালথার জনগন কাধে-কাধ মিলিয়ে আমার নির্বাচন করবে। আমি নির্বাচিত হলে নগরকান্দা-সালথার অবহেলিত, নির্যাতিত ও ভাগ্যহারা মানুষের পাঁশে থাকবো- ইনশাল্লাহ।
প্রার্থী ঘোষনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তালমা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হরিপদ চন্দ্র দাস, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আল আমিন প্রমূখ। এ ছাড়াও নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ ও তার
অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।