মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ওই তিনজন হলেন—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তারা তিনজনই টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) কোটায় মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায়।
গত ১৯ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে টেকনোক্র্যাট কোটার দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ উপমন্ত্রীর মধ্যে তিনজনের পদত্যাগের ফলে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা এখন ৪৫।
২০১৯ সালে ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকায় সংসদ সদস্য নন বা নির্বাচিত ছাড়া টেকনোক্র্যাট কোটায় ছিলেন দুই মন্ত্রী। পরে এর সংখ্যা বাড়ানো হয়।
মোস্তাফা জব্বার টেকনোক্র্যাট কোটায় আবারও মন্ত্রী হন। এর আগেও তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন। স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হন। এর আগেও তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন। পরে ড. শামসুল আলমকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পায় ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোট পায় মাত্র সাতটি আসন।
সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন।