মো.ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলামের কাছে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তারসহ যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভালোবাসায় শিক্ত হলেন লক্ষ্মীপুর ১ রামগঞ্জ আসনের সাংসদ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন। এসময় সড়কের দুইপাশের সাধারণ জনতা তাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। একই সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে তার সাথে যুক্ত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে ঢাকা থেকে রামগঞ্জে আসার সময় উপজেলার কাটাখালি এলাকায় ফুলেল সংবর্ধণা দেয়া হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রামগঞ্জ আসনের সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁনকে।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার খান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তার প্রমাণ লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, সুশাসন ও সেবার ওপর আস্থা রেখে এই নির্বাচনেও জনগণ নৌকাকে বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন। এসময় নিজের জয়ের ব্যাপারের শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আসন্ন নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে হবে। আমি এলাকায় অনেক আগে থেকেই সমাজসেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আগামীতে বৃহৎ পরিসরে সবাইকে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চাই। এলাকাবাসী সঙ্গে নিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো বলে আশাবাদী।’
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীদের শত শত মোটরসাইকেল ও বাদ্যযন্ত্রের গাড়ী বহরের শোভাযাত্রার মাধ্যমে রামগঞ্জ পৌর শহরের উপর দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে দেখা করতে যান।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।