গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
দেশে শীতকালীন সবজি চাষ প্রতিনিয়তই বেড়েই চলেছে। ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকগণ। ভালো ফলনের আশায় অনেক কৃষক সবজি চাষে ব্যবহার করছে অতিরিক্ত কীটনাশক। এসব সবজি খেলে মানুষ কিডনি উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শাক-সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা।
চিকিৎসকগণ বলেন, কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ক্যান্সার ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানারোগ হতে পারে। সচেতন মহল বলেন, কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রচার করতে হবে মাত্রারিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা সবজি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। শাক-সবজিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চল হচ্ছে কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়। গাইবান্ধার সাত উপজেলায়শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছে কৃষক। বেশি লাভের আশায় ফুল ও বাঁধা কপি, বেগুন, পটল, করলা, টমেটো, শিমসহ সব সবজিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগের পর সাধারণত কোন সবজি ৩ দিন, কোনটির ৭ দিন এবং কোনটির ২১ দিন আবার কোন সবজিতে সময় লাগে মাসের বেশিও। কীটনাশক প্রয়োগ করে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সবজি বাজারজাত করছে অধিকাংশ কৃষক। কীটনাশক প্রয়োগের ৩-৪ দিন পরেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে আসে। কোন কৃষক একদিন পরেই জমি থেকে সবজি তুলেন। সাধারণ মানুষ সেই সব সবজি তাজা ভেবে ক্রয় করেন। অথচ এসব শাক-সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এতে শরীরে নানা রোগ হতে পারে।
কৃষি বিভাগ বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। বিষমুক্ত সবজি চাষে আগ্রহী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষকগণ বলেন, সবজি চাষের আগে জমি চাষযোগ্য করার জন্য প্রথমেই কীটনাশক ব্যবহার করে। ঘাস ও আগাছা ধ্বংস করার জন্য বিষ দেয়া হয় ক্ষেতে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বলেন, শাক-সবজিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।