গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
সোনার বাংলাদেশে কৃষক ফলায় সোনার ফসল। চলছে আমন ধান কাটার মৌসুম। ইতিমধ্যে কিছু জায়গায় শেষ হয়েছে ধান কাটা। আমন ধান কাটার সময় জমি শুকিয়া যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইদুর ধানের শীষ কেটে কেটে গর্তের মাঝে মজুদ রাখে। ইদুরের মজুদ করা ধানে আবার ভাগ বসাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান ক্ষেত ঘুরে ঘুরে ইঁদুরের গর্তের সন্ধান করে বেড়ায় তারা। গর্তের দেখা মিললেই মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে ইদুরের মজুদ করা ধান সংগ্রহ করে তারা। প্রতিবছরই ধান কাটার পর চোখে দরিদ্র মানুষের ধান সংগ্রহ কররর দৃশ্য।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ী গ্রামে জমিতে ইদুরের গর্তের ধান সংগ্রহকারী আব্দুল জলিল বলেন, ইদুরের গর্ত দেখেই বুঝতে পারে কোন গর্তে ধান আছে আর কোন গর্তে ধান নেই। যে গর্তে ধান আছে সে গর্তটি শাবল ও কোদাল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে গভীর পর্যন্ত গিয়ে ইদুরের কাটা ধানের শীষ সংগ্রহ করে। এভাবে ধান সংগ্রহ করে তার বেশ উপকার হয়। একই উপজেলার শান্তি গ্রামের এক নারী শ্রমিক বলেন, সারাদিন গর্ত খুঁড়ে ১৫ কেজি থেকে ৩০ পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করা যায়। এসব ধান দিয়ে তাদের খাদ্যের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটানো সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবারে ধানের কাজ শেষ করে বইসা থাকার বদলে ধান কুড়ালে ২/১ ধান পাওয়া যায়। ইদুরের জন্য আমাদের রিজিক মিলে। অনেক ধানের জমিতে কমবেশি ইদুরের উপদ্রব রয়েছে। খাবারের খোঁজে মুখে ধান নিয়ে তার গর্তে জমা করে। সাধারণত ফসলি জমির উঁচু স্থানে ও ক্ষেতের আলে গর্ত করে অবস্থান নেয়। ক্ষেতে ধান পাকলে ইদুর ধানের শীষ কেটে মজুদ করে রাখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, ইদুরের গর্ত খুঁড়ে ধান বের করা নিরাপদ নয়। গর্তে শুধু ইদুর থাকে এমনটা নয় সেই গর্তে বিষধর সাপও থাকতে পারে। এ বিষয়ে মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।