দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের জন্য বাংলাদেশের মেয়েদের লক্ষ্য ছিল ১৫০ রান। মেয়েদের টি-টোয়েন্টির হিসাবে লক্ষ্যটা বেশ বড়ই। কিন্তু ওপেনিং জুটিতেই বাংলাদেশকে হতাশ করে তোলার সব বন্দোবস্ত করে ফেলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। ৬৯ রানের জুটিটা ভাঙলেন লেগ স্পিনার রাবেয়া খান।
ফেরালেন ৩০ রান করা স্বাগতিক অধিনায়ক তাজমিন ব্রিটসকে।
এই উইকেট প্রাপ্তি যেন জাগিয়ে তুলল বাংলাদেশের মেয়েদের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। অবশ্য বাংলাদেশের জয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এনিকে বস্ক।
তাঁকে লতা মণ্ডলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান লেগ স্পিনার স্বর্ণা আক্তার। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় তিনি করেন ৬৭ রান।
এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস তাঁরা থামিয়ে দেন ৮ উইকেটে ১৩৬ রানে।
তাতে বেনোনিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৩ রানে। এই সংস্করণে প্রোটিয়া মেয়েদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় জয়। প্রথম জয়টি ২০১২ সালে মিরপুরে দুই দলের প্রথম দেখায়। সেই জয়ের পর টানা ১১ হার। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম জয় দিয়ে সেই খরা কাটাল বাংলাদেশের মেয়েরা।
প্রোটিয়াদের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার বড় কৃতিত্ব স্বর্ণার। এই লেগি চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। এই সংস্করণে কোনো বাংলাদেশি বোলারের এটি তৃতীয়বার ৫ উইকেট।
বিরুদ্ধ কন্ডিশনে ব্যাটিংটাও দারুণ করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। মুর্শিদা খাতুনের অপরাজিত ৬২ রানের সঙ্গে অধিনায়ক নিগার সুলতানার ঝোড়ো ইনিংস বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। ২১ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নিগার।