রোমানিয়া থেকে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে প্রায় ১৫৫ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিক্রির লক্ষ্যে এ তেল কেনা হবে।
এর আগে ভারত থেকে প্রায় একই দামে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেলা কেনা হয়। ভারতের গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারসের কাছে থেকে এ সয়াবিন তেল কেনার পর এবার রোমানিয়ার অ্যালোনাইট মেডিটাইম অ্যান্ড ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড মার্ক এক্সিম লিমিটেড থেকে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল রোমানিয়ার অ্যালোনাইট মেডিটাইম অ্যান্ড ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড মার্ক এক্সিম লিমিটেডের কাছ থেকে কেনার অনুমোন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮৩ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৪ টাকা ৬২ পয়সা।
এর আগে গত ২২ আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ভারতের গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারসের কাছ থেকে কেনার অনুমোন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের খরচ ধরা হয় ১৫৪ টাকা ৬০ পয়সা।
তার আগে গত ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য ৩৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল এবং মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭৭ কোটি ১৪ লাখ ৫০ টাকার তেল এবং ২৬৭ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার টাকার মসুর ডাল ছিল।
টিসিবির জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এমএস রয় ট্রেডার্ডের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ৭৭ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১১ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডলা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ১০০ টাকা কেজি দরে এ ডাল কিনতে মোট খরচ ধরা হয় ১১০ কোটি টাকা। অপরদিকে, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিকেজি ১০২ টাকা ১৩ পয়সা হারে এ মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ ধরা হয় ৯৭ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।