হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
ভারতে পেয়াঁজের দাম বেড়ে ওঠায় হটকারি সীদ্ধান্তে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষনা করেছে সেদেশের সরকার। ভারতের বৈদেশীক বানিজ্য শাখার ডাইরেক্টর জেনারেল স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।তবে আগের এলসি করা পেঁয়াজে আমদানি শুরু হয়েছে বন্দর দিয়ে। এদিকে একরাতেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৯০ টাকা। অপরদিকে দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৬০ এবং পাতা পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে।
পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষনায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের গুদামে পেঁয়াজের মজুত নেই। তবে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পেঁয়াজ গুদামে মজুত করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ শুণ্য হয়ে পড়েছে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে ব্যপক। গতকাল শুক্রবার সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ আজ শনিবার হিলি খুচরা বাজারে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষনার সাথে সাথে হিলি খুচরা বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। অল্পকিছু পেঁয়াজ থাকলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, এভাবে যদি পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে আমাদের পক্ষে পেঁয়াজ কেনা দুস্কর হয়ে পড়বে। তারা পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, ভারত সরকারের এমন হটকারি সিদ্ধান্তে দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ব্যপক হারে বাড়বে। আমি কতৃপক্ষকে অনুরোধ করবো ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেন। আর কিছুদিন যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো তাহলে বাংলাদেশর পেঁয়াজ বাজারে উঠে যাবে। আমরা ধার দেনা করে এলসি করেছি সেই টাকাগুলো তো আর ফেরত পাবো না। এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্তর মধ্য পড়ে যাবো।
আজ শনিবার পূর্বের এলসি করা ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।