দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে দুই দিনের শুনানিতে ১০৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
সোমবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল শুনানি হয়। শুনানিতে ৫১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর প্রার্থিতা ফেরত পাননি ৪১ জন। সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বা পেন্ডিং রয়েছে সাতজনের।
সকালে ১৮ জন প্রার্থীর আপিল আবেদনের শুনানি হলে ছয়জনের আবেদন মঞ্জুর করে কমিশন। বাকি ১২ জনের মধ্যে কারও কারও প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, আবার কারও কারও আপিলের আদেশ পেন্ডিং রেখেছে কমিশন।
প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া ৬ জন হলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, ময়মনসিংহ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ, রংপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনা আক্তার, ঢাকা-৫ আসনে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী মো. নুরুল আমিন ও মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নূরে আলম সিদ্দিক।
এদিকে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোছা. তাহমিনা আক্তার মোল্লা। বাছাইয়ে বাদ পড়ার পর আপিল শুনানিতেও তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। আসনটিতে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন রমেশ চন্দ্র সেন।
এর আগে পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন নায়িকা মাহিয়া মাহি। গত ৩ ডিসেম্বর (রোববার) যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর পাওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি এবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রার্থী হয়েছেন। যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।