হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। তবে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় ও সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।এতে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন। অচিরেই পুরনো এলসির পেঁয়াজগুলো দেশে ঢুকবে। এতে সামনের দিনে দাম আরও কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষেণের বাজার মনিটিং শেষে হিলি পানামা পোর্টে পেঁয়াজ আমদানিকারকদের আলোচনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষেণের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম। এসময় নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মশফিকুর রহমান,উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম,পোর্ট এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক,পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান,ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগে যেসব পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছিল সেগুলোও তারা রফতানি করবে বলে আমরা ভারতীয় রফতানিকারক মারফত জানতে পেরেছি। পূর্বের এলসির পেঁয়াজগুলো আজ দেশে প্রবেশ করার কথা ছিলো। কিন্ত আজ না আসলেও দুই একদিনের মধ্যে আসতে পারে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ আসার কথা থাকলেও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এ দিকে হিলি খুচরা বাজারে কেজি প্রতি প্রকারভেদে কমেছে ৩০ টাকা। দেশি মুড়িকাটা একটু খারাপ মানের পেঁয়াজ ১০০ টাকা,আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ১১০ টাকা এবং দেশি শুকনো পেঁয়াজ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।