ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক শূণ্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবিরা। শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়া রোগীর চাপ।
এ জেলায় সন্ধ্যা থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। রাতভর থাকে তীব্র শীতের প্রকোপ। সকালে কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরে নাজেহাল হয়ে পড়ে দিনমজুররা।
কচাকাটা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত ও কুয়াশা বাড়ায় কষ্ট পোহাচ্ছে মানুষ। শীতের কারণে কাজ করতে চাচ্ছে না দিনমজুরেরা। ফলে চলতি মৌসুমে কৃষি কাজে সমস্যা হচ্ছে।
বলদিয়া ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, শীত আর ঘন কুয়াশার জন্য ইরি-বোরোর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে ইরি আবাতে বীজ নিয়ে চিন্তায় আছি আমরা।
অটো চালক রুবেল আহম্মেদ বলেন, ঘন কুয়াশার জন্য সড়কে অটো চালাতে অসুবিধা হয়। তাছাড়া শীত থাকায় যাত্রী কমে গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যচবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং শীতের তীব্রতা এবারও বাড়বে। এ মাসে এ জেলার ওপর দিয়ে একটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফ জানান, শীতার্তদের জন্য জেলায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো ইউনিয়ন পর্যায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া নগদ টাকা এবং শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সেগুলো দিনমজুর কর্মহীন মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।